রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৬ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর দনিয়া এলাকায় আন্দোলনরত এক শিক্ষার্থীর ওপর পিক-আপ ভ্যান উঠিয়ে দেয় চালক। এই ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। যাতে বলা হয় এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। কিন্তু নিহতের খবর নাকচ করে দিয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলি।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলি বলেন, আমরা ঢাকা মেডিক্যালে কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছি। এরকম কোনো খবর পাইনি। আর যে ভিডিও ছড়ানো হচ্ছে সেটা সম্পর্কে বলা যাচ্ছে না। সেটা আগের হতে পারে।
এদিকে আহত ওই শিক্ষার্থীকে যাত্রাবাড়ীর প্রোঅ্যাকটিভ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালটির ব্যবস্থাপক সালাহউদিন ভূইয়া বিষয়টি কালের কণ্ঠকে নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটির নাম ফয়সাল। তাঁকে আমাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অবস্থা স্থিতিশীল কিন্তু কোমরে ফ্র্যাকচার রয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে।
জানা গেছে ফয়সালের পিতার নাম শামসুল হক। তারা রাজধানীর কদমতলী এলাকায় বসবাস করে। ফয়সাল নারায়ণগঞ্জ সরকারি তোলারাম কলেজে ইন্টারমিডিয়েটের ছাত্র।
আজ বুধবার সকাল থেকেই ফেসবুকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। বিভিন্ন পোস্টে বলা হয়, রাজধানীর শনির আখড়া, দনিয়া এলাকায় শিক্ষার্থীরা লাইসেন্সবিহীন গাড়ি আটকে দিচ্ছিল। ভিডিওতে দেখা যায়, একটি পিক-আপকে আটকানোর চেষ্টা করছেন ছাত্ররা। এক পর্যায়ে সামনে থাকা এক ছাত্রের ওপর দিয়ে গাড়ি উঠিয়ে দেয় চালক।
সোশ্যাল মিডিয়া সূত্রে জানা যায়, ‘শান্তিপূর্ণ আন্দোলন হচ্ছিল। প্রতিটি গাড়ির ড্রাইভারের লাইসেন্স চেক করা হচ্ছিল। লাইসেন্স না থাকলে ড্রাইভারকে নামিয়ে ভাংচুর করা হচ্ছিল। একটি পিক-আপ ভ্যানের ড্রাইভারকে থামিয়ে লাইসেন্স চেক করার চেষ্টা করা হলে একজন ছাত্রের গায়ের ওপর দিয়ে উঠিয়ে দিয়ে চলে যায়। পরে সেই ছাত্রের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার এ কে এম নাসির উদ্দিন জানালেন, আজকে কয়েকজন রোগী এ ধরনের ঘটনায় ইমার্জেন্সিতে কয়েকজন রোগী ভর্তি হয়েছেন তবে মারা যাওয়ার কোনও খবর তার কাছে নেই। তিনি জানান, আহতরা তিনজন তবে গুরুতর নয়।